কোটা সংস্কার আন্দোলন দমনে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন, নির্বিচার ছাত্র-জনতার ওপর গুলি ও হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। সংগঠনটি বলেছে, এসব হত্যাকাণ্ডের দায় সরকার এড়াতে পারে না।
আজ শনিবার উদীচীর কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে এক বিবৃতিতে এ কথাগুলো জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান। ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে আগামী সোমবার দেশব্যাপী সাংস্কৃতিক সমাবেশ করবে সংগঠনটি।
উদীচী রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন, গুলি ও হত্যার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় নাশকতারও নিন্দা জানিয়েছে। তারা এই আন্দোলনে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা ও নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় প্রকাশের দাবি করেছে এবং প্রাণহানির ঘটনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছে।
উদীচীর নেতারা বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমনে অনাকাঙ্ক্ষিত বলপ্রয়োগ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য অগ্রহণযোগ্য। আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় যে নজিরবিহীন নাশকতা চালানো হয়েছে, তাও নিন্দনীয়।
উদীচী দাবি করেছে, আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রত্যেক মানুষের সুচিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রাষ্ট্রকে করতে হবে। আন্দোলন ঘিরে নাশকতার হাত থেকে রাষ্ট্রীয় স্থাপনা রক্ষায় যারা ব্যর্থ হয়েছেন, তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
সংগঠনটি আরও বলেছে, এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধকে কটাক্ষ করা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা বন্ধ করতে হবে। দমন-পীড়ন ও হত্যা-নির্যাতন বন্ধ করে অবিলম্বে দেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে উদীচী।